যখন রিসিভার নিয়োগ করা যায়ঃ রিসিভার হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোন মামলাধীন সম্পত্তির তত্ত্বাবধানার্থে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা। দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ এর আদেশ ৪০ এর ১ বিধিতে তত্ত্বাবধায়ক বা রিসিভার নিয়োগ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
৪০ আদেশের ১ বিধিতে বলা হয়েছে যে, যে ক্ষেত্রে আদালতের কাছে ন্যায়সঙ্গত ও সুবিধাজনক বলে প্রতীয়মান হয়, সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশের মাধ্যমে-
ক) ডিক্রীর আগে বা পরে কোন সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করতে পারে।
খ) সম্পত্তির দখল বা তত্ত্বাবধান হতে কোন লোককে অপসারণ করতে পারে।
গ) তা তত্ত্বাবধায়কের দখলে, তত্ত্বাবধায়কের ব্যবস্থাপনা রাখিতে পারে এবং
ঘ) মামলা আনয়ন ও আত্মপক্ষ সমর্থন সম্পর্কে এবং সম্পত্তি আদায়করন, ব্যবস্থাপনা, নিরাপদকরণ, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য খাজনা এবং মুনাফা সংগ্রহ, অনুরূপ খাজনা ও মূনাফার প্রয়োগ ও হস্তান্তর এবং দলিল সম্পাদন সম্পর্কে মালিকের নিজের যেরূপ ক্ষমতা আছে সেরূপ বা আদালত যে সব ক্ষমতা যথাযথ মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক বরাবর অনুরূপ সব ক্ষমতা প্রদান করতে পারে।
রিসিভারের দায়িত্বঃ ৪০ আদেশের ২ বিধি অনুসারে, কোন লোককে সম্পত্তির দখল ও তত্ত্বাবধান হতে অপসারণের জন্য যাকে মামলার কোন একটি পক্ষের অনুরূপভাবে অপসারণের বর্তমান অধিকার না থাকে, এই বিধির কোনো বিধানই আদালতকেও উক্ত লোককে অনুরূপ অপসারণের ক্ষমতা প্রদান করবে না।
দেওয়ানী কার্যবিধির ১৯০৮ এর ৪০ আদেশের ২ বিধিতে, রিসিভার বা তত্বাবধায়কের কর্তব্য সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। ৪০ আদেশের ২ বিধিতে বলা হয়েছে, অনুরূপে নিযুক্ত প্রত্যেক তত্ত্বাবধায়ক-
ক) সম্পত্তি সম্পর্কে সে যা পাবে তার যথাযথ দায়ী থাকার জন্য আদালত দ্বারা যথাযথ বিবেচনায় জামানত (যদি কোন) প্রদান করবে।
খ) আদালত দ্বারা নির্দেশিত মেয়াদে এবং ফরমে তার হিসাবাদি পেশ করবেন।
গ) আদালতের নির্দেশ মতো তার কাছে হতে প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করবে এবং
ঘ) তার ইচ্ছামত বরখেলাপ বা গুরুতর অবহেলার দরুণ সম্পত্তির ক্ষতিসাধন হলে তার জন্য দায়ী থাকবে।