যে সকল যুক্তি সুনির্দিষ্ট ভাবে কার্যকর করা যেতে পারে, সেগুলো সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ১২ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে। দেওয়ানী আদালত স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বলে ৪ টি ক্ষেত্রে বা ৪ ধরনের চুক্তিকে সুনির্দিষ্ট ভাবে কার্যকর করাতে পারেন বা আদালতে চুক্তি প্রবলের মামলা করে ৪ ধরনের চুক্তি সুনির্দিষ্ট ভাবে কার্যকর করা যায়।
প্রথমত, যখন চুক্তির মাধ্যমে সম্মতিভুক্ত কার্যসম্পাদন পুরোপুরি বা আংশিক একটি অছি বা জিম্মা বা ট্রাষ্টের অন্তর্ভুক্ত হয়।
দ্বিতীয়ত, যখন চুক্তির মাধ্যমে সম্মতিভুক্ত কার্যসম্পাদন না করলে কার্যত যে ক্ষতি হয়, তার পরিমাণ নির্ণয়ের কোন মানদন্ড থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতির পরিমাণটা কিভাবে নির্ণয় করবে সেটির জন্য কোন প্যারামিটার থাকে না।
তৃতীয়ত, যখন চুক্তির মাধ্যমে সম্মতিভুক্ত কাজটি এমন হয় যে, তার সম্পাদন না করলে আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রতিকার লাভ করা যায় না। দেখা যায় যে, ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে তবে সেটা কোন মতেই পর্যাপ্ত হবে না।
চতুর্থত, যখন এমন সম্ভাবনা থাকে যে চুক্তির মাধ্যমে সম্মতি ভুক্ত কার্যসম্পাদন না করার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। চুক্তি সম্পাদনও হল না, ক্ষতিপূরণও পাওয়া যায় না, এক্ষেত্রে তো চুক্তি সম্পাদনের বিকল্প নেই।
উপরিউক্ত, ৪টি ক্ষেত্রে আদালত স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করবেন, কেননা এখানে আমরা দেখতে পারছি যে, যদি চুক্তির সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন বা কার্যকর করা না হয় সেক্ষেত্রে যে পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেই পক্ষকে সঠিক আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণও প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে, অবশ্যই যুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
চারটি ক্ষেত্রের মধ্যে প্রথম কারণটিতে আমরা দেখেছি যদি সেটি পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত হয়, বাকি তিনটি কারণের মধ্যে আমরা আর্থিক বিষয়টি দেখতে পাচ্ছি। একটিতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের মানদন্ড থাকছে না, আরেকটিতে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা যাচ্ছে না, শেষটিতে ক্ষতিপূরণই পাওয়া যাচ্ছে না; যার ফলে উক্ত চুক্তি গুলো সুনির্দিষ্ট ভাবে কার্যকর করা ব্যতীত আর কোন উপায় থাকছে না।
তামাদি আইন ১৯০৮ এর অনুচ্ছেদ ১১৩ অনুযায়ী, চুক্তি প্রবলের মামলা করার তামাদে মেয়াদ হচ্ছে এক বছর অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ১২ ধারার অধীন চুক্তি প্রবালের মামলা করতে হবে এক বছরের মধ্যে আর এই ক্ষেত্রে আদালত এই মামলা করতে গেলে কোর্ট ফি হচ্ছে advalorem বা মূল্যানুপাতিক।
এই জায়গা থেকে বার কাউন্সিলের এডভোকেট তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে, তাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে হবে এখান থেকে।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তি নৈর্ব্যক্তিক (এম সি কিউ) পরীক্ষা এর প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত এমসিকিউ প্র্যাকটিস করার জন্য আপনাকে লিগ্যাল ফিস্টের এক্সাম অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে, যাতে আপনি ফ্রি এবং প্রিমিয়াম উভয় ভার্সনে ১০,০০০ এরও বেশি MCQ চর্চা করতে পারবেন।