অস্থাবর সম্পত্তি বা Movable property বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায় এমন সম্পত্তি যে সব সময় নিজ মালিকের কাছে থাকবে বা দখলে থাকবে তা কিন্তু নয়। প্রয়োজনের তাগিদে অনেক সময় মূল মালিক তার অস্থাবর সম্পত্তি তার প্রতিনিধি বা কারো জিম্মাতেও রাখতে পারে। ধরুন, আপনার গাড়ির ড্রাইভার আপনার গাড়ির দখলে থাকে। গাড়ির মালিক আপনি কিন্তু দখলে থাকে আপনার ড্রাইভার, গাড়ি অস্থাবর বা Movable সম্পত্তি। এখন ড্রাইভার যদি আপনার গাড়ির দখল নিয়ে আপনার সাথে নয় ছয় করে, তখন আপনি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১১ ধারার অধীন প্রতিকার পেতে পারবেন। গাড়ি এবং গাড়ির ড্রাইভার নিয়ে যে উদাহরণ দিলাম সেটি নিয়ে আপনার মনে কনফিউশন বা দ্বিধাদ্বন্তু তৈরী হয়ে হতে পারে, কারণ এই গাড়ির কাগজ পত্রের ভিত্তিতে আপনি সহজেই মালিকানা আদায় করতে পারবেন বলে যে ভাবছেন, সেটি কিন্তু সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার বাহিরের এলাকায় অনেক যানবাহনেরই কোন ধরনের লাইসেন্স বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া থাকে না। রিক্সা, অটো রিক্সা, লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেলের মত একটি গাড়ির মালিক যদি তার ড্রাইভার বা কোন ব্যক্তিকে দিয়ে ভাড়ায় চালিয়ে থাকে, এখন ঐ ড্রাইভার বা ঐ ভাড়ায় চালানো ব্যক্তি যদি দাবী করে যে ঐ গাড়ি তার, তখন সেটি প্রকৃত মালিক হিসেবে আপনি সেটির দখল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। যেকোন অস্থাবর সম্পত্তি, বিশেষ করে যেগুলো টাকার মত যার হাতে যায় তার হয়ে যায়, সেই অস্থাবর সম্পত্তি গুলো আপনি দখল হারিয়ে যখন দখল পুনরুদ্ধার করতে চাইবেন, তখন আপনাকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১১ ধারার অধীন অধিকার বলে দেওয়ানী কার্যবিধির বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী দাবী করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১১ ধারার একটি উদাহরণে বলা হয়েছে যে, কেউ একজন যদি দেশের বাহিরে যাওয়ার সময় তার কোন আসবাবপত্র অন্য একজনের জিম্মায় রেখে যায় এবং ঐ জিম্মাদার ব্যক্তি যদি ঐ আসবারপত্র তৃতীয় কোন ব্যক্তির নিকট বন্ধক রেখে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়, তাহলে প্রকৃত মালিক তার আসবাবপত্রের দখল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। একই ভাবে, কেউ যদি আপনার পরিবারে কে কোন দেব মূর্তির দখল পেয়ে থাকেন, তাকে তা আপনার নিকট অর্পনের জন্য বাধ্য করতে পারবেন। আবার, আপনি কোন মৃত চিত্রকারের একটি চিত্র এবং একজোড়া দুষ্প্রাপ্য চীনামাটির কারুকার্যে কোন পাত্রের অধিকারী, অথচ এর দখল অন্য কারো কাছে। আপনি তার কাছ থেকে সেগুলোর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তি নৈর্ব্যক্তিক (এম সি কিউ) পরীক্ষা-২০২৩ এ ও এই জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে, তাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তি নৈর্ব্যক্তিক (এম সি কিউ) পরীক্ষা-২০২৩ এর প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত এমসিকিউ প্র্যাকটিস করার জন্য আপনাকে লিগ্যাল ফিস্টের এক্সাম অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে, যাতে আপনি ফ্রি এবং প্রিমিয়াম উভয় ভার্সনে ১০,০০০ এরও বেশি MCQ চর্চা করতে পারবেন।